পৃষ্ঠাসমূহ

ভলোবাসা অবিনশ্বর

ভলোবাসা অবিনশ্বর
আবুল কাসেম তারা
--------------------------
কোমল মৃত্তিকায় অধুনা তদ্রুপ আম্বরী নেই!
সম্পর্ক আছে, সম্পর্কে সরল আম্বরী নেই!
বিনিময়ের করায়ত্ত্বে আজি সম্পর্কের প্রাণ হয়েছে বন্দী
কামনার করিডোরে ভিড়ে না অকপট এক ফোটা জল!
মৃত্তিকায় আঁকড়ে ধরা ভয়ানক ক্যামিকেলের মত
জন্ম দেয় সবুজ উদ্ভিদ বর্ণের কৃত্রিম সবুজ অবয়ব!
চেনা যায় না অধুনা কোনটা আসল কোনটা নকল
আলোতে দাঁড়িয়ে আলো, আলোর সাথেও করে যায় ছল!

যাকে জোৎস্না ভেবে আলোর নেশায় কাছে টেনেছি
সে শুধু দীপ্তমান আলো ভেবেই একমুঠো এসেছিল!
এই বিরাম ভূমির মধ্যেখানে প্রকট সুয্যিটি দেখেনি
সলতে প্রজ্জ্বলিত বিনম্র প্রদীপের আলো তার মনে ধরেনি!
তাইতো শ্রাবণের মেঘ ঝরে যায় প্রেমের মৃত্তিকায়
ঝরতে ঝরতে জলশূন্য বৃষ্টির কান্না বাতাসে মিলে যায়!
কুহেলিকার কাছ থেকে ধার চেয়েছি ধূসর কান্না
কঁচুপাতার ডগায় নীরবে ধরা দিয়েছে প্রভাতী পান্না!

এই উলঙ্গ পৃথিবীতে ক্ষণজন্মা প্রেমার্ঘ্য রঙিন প্রজাপতি,
কোন এক ঝড়ের রাতে যদি সুখের ইমারত ভেঙে যায়,
এই বিরাম ভূমিতে এসো- ভাঙা ফটক থাকবে খোলা,
হয়তো থাকবেনা যৌবন, থাকবে জীবনের তীব্র মহিমা,
ভালোবাসার স্পন্দন শুনতে পাবে, জাগবে অথৈ কামনা!
যদি এসে দেখো আমি নেই,পঙক্তি জুড়ে রয়েছো তুমি
মাটির ঘাসের কাছে জীর্ণ কাগজে দেখো- রয়েছি আমি।

যৌবনের বাড়িয়ে রাখা হাত, অন্তিম দুয়ারেও দাড়িয়ে
পৃথিবীর সবকিছু নশ্বর, সমগ্র সীমারেখা পেরিয়ে
জানালার ওপারে থাকবে ভলোবাসা অবিনশ্বর!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন