একদিন সাথে ছিলে তুমি
আবুল কাসেম তারা
ত্রাসিত ঝড়ে আকাশের গায়ে বিজলির ক্রুদ্ধ বিস্ফোরণ
তীব্র হাওয়ায় উড়ছে ধুলো ঘুরছে মিশ্র বৃক্ষের আস্তরণ।
আমি চলছি একাকি সাঁঝবেলা এমনি এক অচিন গাঁয়ে,
পথের পাশে লুকবার ছাদ খুঁজে ছুঁটছি তখন ভীরু পায়ে।
একটু কাছাকাছি টিনেগড়া ভাঙাচুড়া গ্রামের পাঠশালা,
কোনক্রমে ঢুকে পড়ি কাটা টিনে কেটে করে গা জ্বালা।
ভিতরে অন্ধকার তাই দেখে মনেহল বিজনে আছি একা,
সহসা চমকিত আঁধারে কার যেন চিকন কন্ঠে শুনি কথা।
বিজলির আলো ঐ মুখটিরে দেখিয়ে আমায় চমকে দিল,
ধীরু পায়ে ভীরু আমি একটু এগিয়ে তাকে বললাম হ্যাল!
লজ্জা রাঙা মুখ আনত ধরি বিড়বিড় বলল, এখন কি করি!
বাইরে ঝড় আশ্রিত আমি, এখানে কোথায় তোমার বাড়ি?
কাছাকাছি আধাকিল পেড়িয়ে গৃহে যেতে হবে এই পথ ঘুরি
ভয়ানক ঝড়ে ঘর যেন ভেঙে পড়ে, খুঁটি খানা আটকিয়ে ধরি
ভয়ে দিশেহারা বুঝিনি কখন সে মিশে গেছে এই বুকের কাছে
জানেনি সে ওড়নাটি কখন কেমন করে রক্তে ভিজে গেছে ।
বিজলী জ্বালল আলো, কাটা ক্ষত চিহ্ণটি দেখে চমকে দিল
ইস! এত রক্ত! কেমন করে
ওড়নাটি চিরে তার বেধে দিয়ে বলল এতখানি কাটল কি করে-
বললাম এখানেই কাটা টিনে ছুটে এসে পিছলিয়ে পড়ে।
ঝড় শেষ বললাম, চলুন আপনাকে বাসায় রেখে চলে যাই-
হেটে যেতে বলল, আপনার বাড়ি কই, বললাম বহুদূর ভাই।
থমকে দাড়িয়ে, বলেনকি! এত দূর এ রাতে যাবেন কি করে?
বললাম নদী পাড়, তারপর বাস পেলে চলে যাব বাসে চড়ে।
বিদায়ের শেষ ক্ষণে, বললেন থেকে যান, চিন্তিত থাকব যে আমি-
বললাম ভয় নেই, মনে রবে চিরদিন, একদিন সাথে ছিলে তুমি।
আবুল কাসেম তারা
ত্রাসিত ঝড়ে আকাশের গায়ে বিজলির ক্রুদ্ধ বিস্ফোরণ
তীব্র হাওয়ায় উড়ছে ধুলো ঘুরছে মিশ্র বৃক্ষের আস্তরণ।
আমি চলছি একাকি সাঁঝবেলা এমনি এক অচিন গাঁয়ে,
পথের পাশে লুকবার ছাদ খুঁজে ছুঁটছি তখন ভীরু পায়ে।
একটু কাছাকাছি টিনেগড়া ভাঙাচুড়া গ্রামের পাঠশালা,
কোনক্রমে ঢুকে পড়ি কাটা টিনে কেটে করে গা জ্বালা।
ভিতরে অন্ধকার তাই দেখে মনেহল বিজনে আছি একা,
সহসা চমকিত আঁধারে কার যেন চিকন কন্ঠে শুনি কথা।
বিজলির আলো ঐ মুখটিরে দেখিয়ে আমায় চমকে দিল,
ধীরু পায়ে ভীরু আমি একটু এগিয়ে তাকে বললাম হ্যাল!
লজ্জা রাঙা মুখ আনত ধরি বিড়বিড় বলল, এখন কি করি!
বাইরে ঝড় আশ্রিত আমি, এখানে কোথায় তোমার বাড়ি?
কাছাকাছি আধাকিল পেড়িয়ে গৃহে যেতে হবে এই পথ ঘুরি
ভয়ানক ঝড়ে ঘর যেন ভেঙে পড়ে, খুঁটি খানা আটকিয়ে ধরি
ভয়ে দিশেহারা বুঝিনি কখন সে মিশে গেছে এই বুকের কাছে
জানেনি সে ওড়নাটি কখন কেমন করে রক্তে ভিজে গেছে ।
বিজলী জ্বালল আলো, কাটা ক্ষত চিহ্ণটি দেখে চমকে দিল
ইস! এত রক্ত! কেমন করে
ওড়নাটি চিরে তার বেধে দিয়ে বলল এতখানি কাটল কি করে-
বললাম এখানেই কাটা টিনে ছুটে এসে পিছলিয়ে পড়ে।
ঝড় শেষ বললাম, চলুন আপনাকে বাসায় রেখে চলে যাই-
হেটে যেতে বলল, আপনার বাড়ি কই, বললাম বহুদূর ভাই।
থমকে দাড়িয়ে, বলেনকি! এত দূর এ রাতে যাবেন কি করে?
বললাম নদী পাড়, তারপর বাস পেলে চলে যাব বাসে চড়ে।
বিদায়ের শেষ ক্ষণে, বললেন থেকে যান, চিন্তিত থাকব যে আমি-
বললাম ভয় নেই, মনে রবে চিরদিন, একদিন সাথে ছিলে তুমি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন