পৃষ্ঠাসমূহ

গভীরে

গভীরে
আবুল কাসেম তারা
-----------------------
হে অচেনা, যবে অদৃশ্য, ওহে শুভ্র সোনা
আমাতে দিয়েছো প্রেম তব তুমি পূর্ণ ষোল আনা।
কেগো তুমি হে এত ভালবাস বার্তা বয়ে আসো
বর্ণ কণার ছন্দে মিশে হৃদয়টিরে চাষো।


অদৃশ্য প্রিয়ার অদৃশ্য বাহক চিরকুট রেখে যায়
সুপ্ত বাসনা পুস্পিত সাজে ইনবক্সে দেখা যায়।
আমিতো মানুষ কোমল বাসনা আমাতেও লেগে আছে
রূপসী আমার হৃদয়টিরে রং তুলি দিয়ে যাচে।


সেই থেকে আজো প্রতিদিন তাকে প্রতিত্তোর দিয়েছি
দেখিনি আজো সোনামণিটিরে কতভাবে খুঁজেছি।
প্রাবাতে উঠি ইমেইল গৃহে বার্তাটি খুঁজে পাই
চট-জলদি পদেভর করি শাল বনে ছুঁটে যাই।


শীতের পাখিরা ঝিলের জলে দল বেধে গোল করে
চারদিকে তার কৃষ্ণচূড়া কানামাছি খেলা করে।
বয়স একুশ হবে যবে তার কৃষ্ণচূড়ার তলে
ল্যাপটপ খুলি লিখছে আমায় সুপ্ত কথাটি খুলে ।


পাশ থেকে তাকে ডাকতে যবে চমকিত চোখে চায়
কার কাছে তুমি লিখছো ওহে তাকে কি দেখা যায়?
অনাধিকার চর্চাটি তাকে বিস্মিত করে তোলে
একটুখানি চটেছে যবে ফিরে আসি গৃহ কোলে।


রাত্রি যখন সূচনা হল ই-মেইল যাচিতে পাই
লিখছে আমায় এলেনা কেন শাল কাননে ভাই?
প্রাণভরে তাই হেসে হেসে তারে লিখছি চিঠি খানি
চটেছিলে তুমি তাই দেখে ভয়ে ফিরে আসি তখনি।


লিখছে আমায় আর চিঠি নয় কাল যেন দেখা হয়
তোমাকে আমার জীবন বাকে চিরকাল পেতে চায়।
প্রভাত হতেই পদেভর করি শাল বনে ছুঁটে যাই
সেদিনই তার জীবন খেয়ার শেষ দেখাটি পাই।


অদৃশ্য ব্যথার কঠিন ভারে খুড়ে খুড়ে কাঁপে বুক
কাল হতে শুধু স্মৃতিগৃহে এসে উকি দেবে প্রিয় মুখ।
সেইতো পীড়ন জীর্ণ হৃদে আলো এসে খেলা করে
গভীর আঁধার আরো গভীরে নিয়ে যায় তার নীড়ে।



গভীরে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন