পৃষ্ঠাসমূহ

প্রাকৃতিক কলম

প্রাকৃতিক কলম
আবুল কাসেম তারা
--------------------
হাতের ফাঁক দিয়ে পরতে পারে না কণা,
মস্ত হাতির পলায়ন কেউ কেউ দেখে না।
কাবিলার কান নাকি বাজ পাখির ঠোঁটে,
শুনে ছোঁটছে বাজের পিছু সে শূ্ণ্য মাঠে।
মৌ মাছির শ্রমে গড়া যত মধুর পিয়াল,
পেটপুরে চুষে নেয় যতসব ধূর্ত শেয়াল।

কানাকে বলল, করবি পায়েশ ভোজন?
বলল কানা বেটা তবে তা দেখতে কেমন?
পায়েশ দেখতে ঠিক সাদা বগার মতন,
বলল কানা বেটা, বগা দেখতে কেমন?
হাত বাঁকিয়ে দেখায় গলাটি বাঁকা এমন,
চটেই- হারামজাদা এসব কেমন ভোজন!

অন্নদাতারা অনাহারে থেকে অন্ন ফলায়,
প্রাসাদে বসে ধনাপহারী বেছে বেছে খায়।
কলমবাজেরা কলমের কালি বেচে চলছে,
বড় বড় লুটেরাদের গুণ-গান লিখছে।
লিখছে না দাঁড়িয়ে যেথা মৃত্তিকার হুবুহু কান্না,
কৌশলী দেঁতো দানব, কে করবে তার ঘেন্না!

কালে কালে জঞ্জাল কতরূপে এলো গেল থামল,
কতো শত ভয়ানক পিশাচের দাঁত খসে পড়ল।
প্রকৃতি হানা দিয়ে পাষন্ডের সীমারেখা ভাঙছে,
জঞ্জাল সাফ করে ইতিহাস শত রূপে গড়ছে।
কেউ যদি সুখের কালে শেষের পরিনতি জানতো,
প্রাকৃতিক কলমে কালির যোগানদাতা লিখে মানতো।


প্রাকৃতিক কলম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন