পৃষ্ঠাসমূহ

রক্তপ্রজ্ঞা

রক্তপ্রজ্ঞা
আবুল কাসেম তারা
============
কালো মার্চ!
কড়াল অন্ধকারে নিদ্রামগ্ন বাংলার গৃহে গৃহে হায়েনার নারকীয় উৎপাত!
মারণ বুলেটের ছুঁড়ে দেয়া বিক্ষিপ্ত ঘাতে আহতের করুণ আর্তনাদ!
হারামি হানাদার চরম নির্দয়, জননীর বুকের পৃষ্ঠে চড়ে রক্তাক্ত করে দেয়।

রক্তের চিৎকার!
ভোরের রক্তবরণ কিরণ বিদেহী রক্তাক্ত কায়ের পরে বিলাপে সম্পৃক্ত।
নিরস্ত্র বাঙালীর বুকের উপর চড়ে যাওয়া ঘৃণ্য পশুর খাবলাটি ছিল স্পষ্ট!
গুমটবদ্ধ আহাজারি, বাংলার হৃৎপিন্ডে সেদিন করে ঘাত, হয় ক্ষত-বিক্ষত!

প্রজ্ঞার ক্রনন্দন!
ক্ষত জ্বালা বুকে শত সহস্র আহত প্রাণ বীরদর্পে রক্তপ্রজ্ঞায় ঝান্ডা হাতে
ঐ নির্দয় বর্বর পাক হানাদার রক্তখেকো পিশাচদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল!
লাখো আত্মহুতির সাধের স্বাধীনতা অর্জিয়ে যোদ্ধা গন্তব্যে ফিরে এল।

কঙ্কালের কান্না!
গৃহে থাকা মা, ভাই, বোন, সাধের নববধুটি মাটিতে পঁচে-গলে আছে!
রক্তাক্ত বস্ত্র আর কঙ্কাল থেকে আসা কাঙ্খিত ভালবাসার ডাক নে যোদ্ধা!
কি যে যন্ত্রনা কাঁতর সেই আহ্বান! ক্লান্ত যোদ্ধা নিস্তেজ পাথর হয়ে গেছে!

স্বাধীনতার স্বাদ!
সেই রক্তপ্রজ্ঞা, নিরন্তর যাতনাকাঁতরে অর্জিত সাধের স্বাধীনতা তুমি কোথায়?
জন্মাবধি তোমার নিঃশ্বাস শুনতে পাই, তোমার স্বরূপে স্নেহের লালনতো দেখছিনা?
তোমার অফুরন্ত প্রেম ভান্ডারে স্বার্থপর কাকদের উপদ্রব দেখে আমার ঘুম আসে না!



রক্তপ্রজ্ঞা


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন