পৃষ্ঠাসমূহ

তোমার দর্শণে

তোমার দর্শণে
আবুল কাসেম তারা
---------------------------------------
প্রথম আমি চিৎকার করে উপস্থিত হয়েছি,
তারপর তোমার মুখটা দেখেছি ‘মা’!
চোখে ব্যথার জল ছিল, তুমি তবু হাসছিলে।
এরপর মাটির দিকে তাকালাম,
সবুজ প্রকৃতিকে দেখলাম,
ভাবলাম তুমি কে? তুমি কোথায়?
সামনে দাঁড়ানো লোকটি আমার ’বাবা’।
ভাবলাম তিনিই হয়তো তুমি।
কিন্তু না, আমি যার, তিনিও তাঁর।
এই ভূ-প্রকৃতির স্তুপে প্রতীয়মান সবই তোমার।
কিন্তু কৌতুহল, তুমি কে? কোথায় থাকো?
তারপর দৃষ্টি চলে গেল আকাশের দিকে,
ভাবলাম, তুমি হয়তো সেখানেই থাকো।
প্রথম কেউ একজন আযান দিল, জানলাম,
আমি শুনতে পেলাম তোমার পবিত্র নাম।
তুমি ‘আল্লাহ’, তুমি একক একটি নাম।
আজ অবধি তোমাকে পাতাল থেকে পাতাল-মস্তকে,
স্বীয় সত্তায় আরোহণ করে আকাশ থেকে আকাশে,
তোমাকে খুঁজছি, তুমি শুধু আমার কান্ড দেখে হাসছো!
বুঝতে পারলাম তুমি আমা হতে অনেক দূরে থাকো।
অতঃপর দেখার বাসনা বাসনাই রয়ে গেল....
জানি, তুমি যতোটা দূরে, ততোটাই নিকটে,
যখন চিত্তে তৃপ্তি লাগে তখন বুঝতে রাখোনা বাকি,
যখন আঘাত লাগে, প্রথম চিৎকার করে তোমাকেই ডাকি।
আমার নিকটে তুমি কখনো নিষ্পাপ হাস্যোজ্জল মুখ,
কখনো অশ্রুশিক্ত চোখের শান্তনা, সাহায্যের স্বচ্ছ হাত।
তৃষ্ণার্ত মাটিকে ভিজিয়ে দেয়া মেঘের বিসর্জন।
মমতায় আঁকড়ে ধরা সত্তাগত প্রগাঢ় মধুর চুম্বন।
অথচ এতো কিছুর মধ্যেও তোমার প্রকৃত রূপ দর্শণ হল না
নিষ্ঠুর ভাবে লয়প্রাপ্ত হব, তার অগ্রবর্তী তোমার দর্শণ পাবো না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন