পৃষ্ঠাসমূহ

একটু দূরে আপন আলয়

একটু দূরে আপন আলয়
আবুল কাসেম তারা (21-07-15)

হাত বাড়ালেই হাতের কাছে
খুঁজি যা সব পাবো না’তো কাল অবধি
এ কথাটি’ই জানা ছিল।
ভুল ভেবেছি এখন দেখি
আলো আঁধার আকাশ বাতাস গাছের ছাঁয়া
প্রাণের মায়া সব কিছুই আমার হল।

মোর গাড়িটা চাকা বিহীন
আট খুঁটিতে ভর করে সে ষোল পায়ে হেঁটে হেঁটে
আমায় নিয়ে ছুঁটছে দেশে।
শতেক খানেক সামনে থেকে
শতেক খানেক পিছু পিছু গাড়িটাকে দেয় পাহারা
আমার গাড়ি যাচ্ছে যেন হাওয়ায় ভেসে।

চরণ তলায় মৃত্তিকা রূপ
তিনি নাকি আসল রূপে আসল মাতা ক্ষন কালে জানিনিতো!
এত দিনে হাত বাড়িয়ে ডাকছে আমায় ঐ দেখা যায়।
যাচ্ছি দেশে মায়ের কাছে
একটু দূরে আপন আলয় ফিরছি দেখে আপন মাতা
খুলে দুয়ার হাত বাড়িয়ে বুকেতে নেয়।

মায়ের কোলে দেহ রেখে
ঘুমিয়ে গেলেম আপন গৃহে মায়ের দেহের চাঁদর খানা
দেহটিকে জড়িয়ে দিয়ে মিলিয়ে নিল।
কেঁদে কেঁদে প্রাণের মায়া যে যেখানে চলে গেল
মায়ের সাথে মৃত্তিকা রূপ গলে গলে এমনি করেই
আসল রূপে মিলিয়ে দিল।

আমার পরেই তোর গাড়িতে
আসবি যেদিন মায়ের কাছে দেখবি আমার দৃষ্টিতে জল
নয়তো আমি সোনায় মোড়া একটি কমল।
রাজার রাজা একাই রাজা করবে বিচার একটু পরে
কেউবা কাঁদে কেউবা হাসে সবই রাজার জিকির করে
হাসছে শুধু মর্তলোকের একটু আমল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন