পৃষ্ঠাসমূহ

সখ্যতার বিচরণ

সখ্যতার বিচরণ
আবুল কাসেম তারা
==============

সীমান্তের ওপার থেকে কিছু বর্ণের আগমনী-
চোখের সামনে তা যেন হয়ে গেল অচিন অতিথিনী।
ঝাঁপসা চোখ দু’টো কচলিয়ে সহসাই পড়ছি-
হ্যালো! কোথায় তুমি, কি করছো একাকি?
আবেগ বিস্মিত হয়ে বিপরীতে বললাম-
আমিতো আমিই, তুমি কেগো বলবে কি?
আঙুল টিপি টিপি বর্ণ লিখে চললাম।


সীমান্ত থেকে ফের ছুঁটে এল অচিন অতিথিনী-
তা যেন কথাবলা ময়না পাখি এমনটি ভাবিনি।
সেদিন তোমাতে আমাতে দেখা তাকি তুমি জানো না?
হয়েছিল দু’জনার নিবিড় সখ্যতার প্রথম সূচনা।
সত্যিই তাইতো! ভোলা মনকে সজাগ করে বললাম-
দারুণ ধরেছো তুমি, কোথা থেকে হে! বলবে কি?
আঙুল টিপি টিপি বর্ণ লিখে চললাম।


তড়িৎ গতি পথে ফের ছুঁটে এল বিমুগ্ধ অতিথিনী-
সে যেন কোকিলের গানে মূর্ছে দেয়া সুরের রাগিণী।
বলছে আমি ঢাকায় থাকি তোমার নাম্বারটা দেবে কি?
তারপর তুমি যা জানতে রাজি তদ্রুপ বলতে থাকি।
সত্যিই তাইতো! তোমার কন্ঠেই শুনি! তাকে বললাম-
চেকন কণ্ঠটি তার, একজন মডেলার ব’লেই জানলাম।
আঙুল টিপি টিপি বর্ণ লিখে চললাম।


পৃথিবীর এক অপূর্ব ফুলের সুগন্ধি মস্তিস্কে লেগে যায়-
কৃষ্ণের বাঁশির সুরে সুর তরঙ্গে মাতাল লহরীত আলয়।
অরণ্য ছুঁয়ে চলা পাগলা হাওয়া চারদিক বইয়ে দিল।
সমুদ্র দূর থেকে দিচ্ছে তার দুর্দান্ত ঢেউয়ের ছন্দগুলো।
শূণ্যের অন্তঃ জুড়ে নীলাভ বিচ্ছিরনে সব ছেয়ে দিলাম।
অন্তহীন ভাবনাটি অতিথিনীর সীমান্তে উড়িয়ে দিলাম।
আঙুল টিপি টিপি বর্ণ লিখে চললাম।


মিছেমিছি আলোর নেশায় এই নিষ্ফল গগণ বিচরণ-
সুখ তারাটি ছুঁয়ে পাওয়া মানে অন্তহীন বিপথ ভ্রমণ।
তবুও দু’চোখ নীলের দূর্গম পথটিতে ফিরে ফিরে চায়-
দারুণ প্রত্যাশা গুলো শুধুই মৃত্তিকা থেকে দেখা যায়।
অথচ তার চেয়েও দারুণ মেলে, আছে নিকট আলয়ে-
আছে সবুজ পদধারে গোলাপ, সূর্যমুখীদের যথার্থ  ঘ্রাণ-
সখ্যতার বিচরণ থেকে সখ্যতাকে খোঁজে নির্বোধ প্রাণ।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন