পৃষ্ঠাসমূহ

তোমাকে যেমন লাগে

তোমাকে যেমন লাগে
আবুল কাসেম তারা
-------------------------
তুমিতো জানো না, তোমাকে দেখতে ঠিক কেমন লাগে!
আমার চোখ দু’টো দেখনিতো তুমি, তোমাকে দেখার আগে?
পদ্মার ঢেউ দেখেছো কখনো? আকাশে কৃষ্ণ বর্ণের মেঘ?
সূর্যের আচমকা হাসি ঢেউকে চমকে দিয়ে মেটায় আবেগ!
তোমার চুলগুলো ঠিক পদ্মার বয়ে যাওয়া ছন্দিত ঢেউয়ের মত,
আমার দৃষ্টি দু’টো প্রথম ওখানেই নোঙর ফেলে হয় পরাজিত।

পূর্ব দিকের ভূমিষ্ঠ সুর্যটিকে দেখেছো? চারপাশে সোনালী আভা?
তোমার সোনা বর্ণের ললাটে দেখেছি স্বীয় ঈশ্বরের চুম্বন আঁকা,
এক জোড়া ভাসা ভাসা চোখ, যেন ঐ মায়া দীঘির ফুটন্ত পদ্ম,
নাসিকাটা গোলাপের ডোগা, ওষ্ঠ যুগল শিশির স্নাত পরিপ্লুত।
থুঁতনির বাম প্রান্তের দারুণ তিলকটি যদি ছুঁয়ে দিতে পারতাম!
তবেই হয়তো দূর আকাশের চাঁদটাকে ছুঁয়ে দেখেছি বলতাম।

রাঙামাটির সবুজ প্রকৃতি দেখেছো? আছে দৃষ্টিনন্দন যুগল পর্বত,
সুবলং জলপ্রপাত সবুজের বুকে বইয়ে দিচ্ছে তার তরল অবয়ব।
তেমনি গ্রীবা হতে কোমর পর্যন্ত তুমি রাঙামাটির বিস্তীর্ণ ভূচিত্র,
যা দেখে হেরে যায় আমার বিস্মিত চোখ, কাঙ্খিত হৃদয় নক্ষত্র।
আমি তোমার অবয়ব দেখি, মুখ থেকে কুড়িয়ে নেই হাসির রেখা,
তোমার হাতের প্রকার, পায়ের রঙ, গড়ন, দেখার খুব তীব্র নেশা।

তুমি কি জানো? যখন তোমাকে দেখি, তখন আকাশ দেখি না,
চাঁদ, তারা, সাদা মেঘ, রামধনু, এমনকি আমাকেও দেখি না।
পৃথিবীর ফুল, পাখি, প্রজাপতি; কেউ কি বলবে ওরা সুন্দর নয়?
আসলে সবই দেখেছি, কেন যেন তোমকেই দেখিনি মনে হয়!
যখন তোমাকে খুঁজি, তুমি নেই, আলো-অন্ধকারে কোথাও নেই,
আকাশ-পাতালের সমুদয় সুরুপে তোমাকেই নিরন্তর খুঁজে বেড়াই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন