পৃষ্ঠাসমূহ

বিপরীতে হেঁটে যাও

বিপরীতে হেঁটে যাও  
আবুল কাসেম তারা                                            
============

ও ছিল জোৎস্না আমার, ছিল মর্মের বসৎ গৃহ,

ভোরের ফুটন্ত ফুল, ছিল দিবসের কুঁহু কুঁহু গান,

চাঁদের মিষ্টি আলো আর স্বপ্নের অমৃত প্রাণ,

বালুচরের ঝরঝরে বালির রসাল মিষ্টি জল,

ছিল বিকেলের রাগ অনুরাগের আপূর্ব ছল।

তার স্বপ্নের বুনট ও আবেগমগ্ন কঠিন টান টুকু

ক্ষীণসম আমায় চোখের অলক্ষ্যে ছুটতে দিতনা।

বলেছিল চাঁদ স্বাক্ষী রবে আমরণ ঝড়তে দেবেনা।

নিঃছিদ্র আশ্বাসে ছয়টি মাস গত করে এসে দেখি,

ব্রতময়ী প্রাণপরশী যবে অট্টালিকায় ধনাঢ্যের শখি।

‌আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি জোৎস্না নেই।

কড়াল অন্ধকারে ধূমকেতু বিস্ফোরিত হচ্ছে,

তৃষ্ণার্ত প্রেম একাকী মরুপথে কুকড়ে যাচ্ছে,

মর্মের কানায় কানায় ফুঁটো-ফাঁটা যন্ত্রনা জমা,

জ্বালাময় হৃদয় খানি কাঁটাবাহী জীবন সীমা।

মর্মকে জিজ্ঞেসিলাম তুমি কেন কান্না করো?

তোমার যাতনাগৃহে স্বপ্নের পালক ছাটা-

নরম কাঁদামাটি আর নদের জোয়ার ভাটা।

প্রেমের সুরঙ্গপথ দিয়ে বিপরীতে হেঁটে যাও-

নাপাওয়ার শেষটাতে যবে কিছু পেয়ে যাও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন