পৃষ্ঠাসমূহ

তুমি ভালো থেকো

তুমি ভালো থেকো
আবুল কাসেম তারা
---------------------
তুমি ভালো থেকো।
এই যে সবুজ মাঠ, কাঁচা মাটির উঁচু রাস্তাটি দেখছো?
তার পাশে সারি সারি বৃক্ষ, কুল গাছে টুননুনিটা নাচছে।
ডাঙা থেকে ডোবার দিকে দেখো কচুরী ফুলের হাসি!
তারই ফাঁকে লুকিয়ে থেকে বাজায় ঝিঁঝি পোকারা বাঁশি।
ঐ যে ভেন্না গাছটা দেখছো? তাতে ছত্রাকের বসবাস,
গেছো ব্যাঙ পাতায় বসে দেখছে পোকা জড়ানো ঘাস।
নারকেল গাছটার নিচে কিন্তু বেজিদের দৌঁড়ঝাপ,
ডাহুকের বাসার পাশে জিহ্বা নাড়ছে একটি ডোড়া সাপ।
একটু দূরে যে নদীটি দেখছো? এর নাম কিন্তু বুড়িগঙ্গা,
বাঁশের ডগায় মাছের নেশায় তাকিয়ে একটি মাছরাঙ্গা।
উত্তরে বক্তাবলী, দক্ষিণে আলীরটেক, পশ্চিমে বালুচর,
আমি কিন্তু এখন রাজাপুর গ্রাম সীমায় দাঁড়িয়ে আছি।
আসলে আমি বদ্ধ পাগল! অতো দূর থেকে কি কিছু দেখা যায়?
কৃষ্ণতো দৃষ্টি বন্ধ করেই রাধাকে দেখে, রাধার জন্যই বাঁশি বাজায়।
কি আশ্চর্য! আমি যখনি তোমার সাথে কিছু বলি বলি
বর্ণের সাথে বর্ণ মিলিয়ে লিখি, ঠিক মনের কথা গুলি।
তুমি যেন তখনি সামনে এসে দিচ্ছো হাত বাড়িয়ে,
অথচ মাঝখানে কতো নদী, কতো সহস্র পথ দাঁড়িয়ে।
এইতো আমার সামনে আকাশটা বুক খুলে রেখেছে,
তোমার অবস্থান হয়তো চন্দ্রনগরীর আরো একটু কাছে,
সেখানে হয়তো চকচকে পিচঢালা রাস্তা বয়েগেছে,
দু’পাশ দিয়ে রঙিন আলোর ফোয়ারা, তাজমহলটা একটু কাছে।
অথচ তুমি সেখানে নিখুঁত বাঙালী, বাসন্তী রূপে রূপায়িত,
ময়ূরীর রঙ মাখা পালক ছড়িয়ে সততই তুমি সমাদৃত।
তুমি ভালোবাসো আমাকে, যদিও আমি অনেক দূরে!
তোমার দৃষ্টি ছুঁটে আসে আমার নীল সমুদ্রের দুয়ারে।
এই তুমিই ভেতরে অন্ধকার দেয়ালটিরে আলো দিয়ে আঁকো-
তুমি ভালো থেকো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন